Header Ads Widget

আওয়ামী লীগ বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দেয় না: কাদের

 

আওয়ামী লীগ রবাহূতের (অনিমন্ত্রিত অতিথি) মতো বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

              সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বক্তব্য রাখছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সময় সংবাদ থেকে


রোববার (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালযয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা বাড়ার পেছনে বিএনপিকে দায়ী করে কাদের বলেন,

Òসকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার আগেই যদি চোখ কচলাতে কচলাতে একটা দূতাবাসে ছুটে যান। এটা তো আপনারা করেন, আমরা তো করি না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের কাছে সময় চেয়েছে, আমরা তাদের সময় দিয়েছি। আমরা রবাহূতের মতো সেখানে যাইনি। আমেরিকার দূতাবাস লাঞ্চের দাওয়াত দিয়েছে, আমরা সেখানে গিয়েছি।

Ó

 

নির্বাচন সামনে রেখে আগামী দিনগুলো সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং কিনা, এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনৈতিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে, ব্যক্তি জীবনে কোনো চ্যালেঞ্জই অনতিক্রম্য না। সব চ্যালেঞ্জই অতিক্রম করা যায়। ইনশাআল্লাহ, আমরা সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারব।’
 
বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশের বিষয়ে নাক না গলাতে যুক্তরাষ্ট্রকে না করেছে ভারত। আবার বিএনপি বলছে যে, ভারত আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা তাদের কথা বলুক, আমরা আমাদের কাজ করব।’
 
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে মনে হতে পারে, আওয়ামী লীগের পাশে আছে ভারত, আর বিএনপির পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 

Òবাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন এ অঞ্চলকে ঘিরে বিভিন্ন দেশের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ আছে, ভারতেরও আছে। থাকাটা স্বাভাবিক। ওদিকে আবার চীন আছে। এই মুহূর্তে ইকুয়েডরে নির্বাচন হচ্ছে, তারপরে আর্জেন্টিনায়ও নির্বাচন হচ্ছে। ২০ থেকে ২২টি দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে এ বছর। কিন্তু কোথাও কারও কোনো কথা নেই। কোথাও অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো কিছু নেই। ইকুয়েডরে তো নির্বাচনী প্রার্থীকে মেরে ফেলেছে।

Ó


‘এসব নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না। আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? কারণটা কি আমরা তো বুঝি না। আমাদের জনগণের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। সেটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের নিয়ম আছে, সংবিধান আছে। দুনিয়ার অন্য দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হয়, আমরা তার বাইরে যাচ্ছি না’, যোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।


তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুগত কোনো প্রতিষ্ঠান না। ভারত নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে। আমাদের কখনও বলেনি যে আপনারা নির্বাচনে এই করেন, সেই করেন, তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আসেন। এসব কথা আমেরিকাও বলেনি।’
 

কাদের আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করা—এসব বিষয়ে আমেরিকাও কিছু বলেনি। মিটিংয়ে ব্যক্তিগতভাবে তাদের জিজ্ঞাসা করেছি। তাদের দেশে এসব নেই, দুনিয়ার কোনো দেশে নেই, কেন বাংলাদেশে এসব হবে?’ 

Post a Comment

0 Comments